২৮ অক্টোবর, ২০২০ ১৭:০২

পিয়াজের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমছে না

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম:

পিয়াজের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমছে না

বড় কয়েকটি শিল্পগ্রুপ মিয়ানমার, পাকিস্তান, চীন, মিশর, তুরস্ক, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পিয়াজ আমদানি শুরু করলেও বাজারে পিয়াজের দাম কমছে না। পাইকারি ও খুচরা উভয়ক্ষেত্রে পিয়াজের দাম এখনও উর্ধ্বমুখী। তবে ভারত পিয়াজ রফতানি বন্ধের পর থেকে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকেই সমুদ্র পথে বেশি আসতে শুরু করে। তারপরও দাম কমছে না। 

কারণ হিসেবে দেশের অন্যতম প্রধান পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা বলছেন, ওখানেই (মিয়ানমারেই) এখন পিয়াজের দাম চড়া। তাই আমদানির পর তা আরো বেড়ে যাচ্ছে। ফলে বিক্রেতা বা আমদানিকারকদের দাম কমানোর তেমন সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। এখন বন্দর থেকে প্রায় প্রতিদিনই খালাস হচ্ছে পিঁয়াজ। তাই পিঁয়াজের যথেষ্ট মজুদও রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। 

বুধবার খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে মিয়ানমারের পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৮ টাকা কেজি, পাকিস্তানি, চিনা ও মিশরি পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা করে। এই পিঁয়াজগুলোই খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ এবং ৬৫ টাকা করে। 

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক ড. আসাদুজ্জামান বুলবুল জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত সমুদ্রপথে ৩৩০টি আমদানি অনুমতিপত্রের বিপরীতে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ২১ হাজার ৩২১ টন পিঁয়াজের ছাড়পত্র ইস্যু করা হয়েছে। মোট ৫৬৭টি আইপির বিপরীতে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫৪ টন পিঁয়াজের আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে। এর বাইরে ঢাকা থেকেও আইপি নিয়েছেন অনেক আমদানিকারক।

খাতুনগঞ্জে আড়তদার রিতাপ উদ্দিন বাবু বলেন, পিঁয়াজের আমদানি যেহেতু বেড়েছে সরবরাহও বাড়ছে। তাই পিঁয়াজের দাম আগের চেয়ে কমেছে। তবে যে হারে আমদানি হচ্ছে সে হারে বাজাওে বা আড়তে পিঁয়াজের দাম কমছে না। তার কারণ হচ্ছে- এখন মিয়ানমারসহ পিঁয়াজ রফতানির দেশগুলোতেও দাম একটু বেশি। তাই হয়তো দাম কমছে না। 

টিসিবির আঞ্চলিক প্রধান জামালউদ্দিন আহমেদ জানান, নগরীর বিভিন্ন স্পটে ১২টি ট্রাকে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ট্রাকে ১ টন করে পিঁয়াজ দেওয়া হয়েছে। ৩০ টাকা দামেই এই পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। 

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর