কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সম্পাদক সাইফুল আলম লিমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার সহযোগী সজল দাশের দুই দিনের রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রবিবার শুনানির পর অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালত এই আদেশ দেন।
লিমনের রিমান্ড না মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, নগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হওয়া সাইফুল আলম লিমন ও সজল দাশের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে সজল দাশের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলেও লিমনকে কারাগারের ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লিমনকে নগরীর মেহেদীবাগ বাসা থেকে এবং তার সহযোগী সজল দাশকে সিআরবি এলাকা থেকে একটি বিদেশী পিস্তলসহ আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার লিমন ও তার সহযোগীকে ডিবি পুলিশ আদালতে সোপর্দ করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত রোববার লিমনের উপস্থিতিতে শুনানির আদেশ দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠান।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ জুন সিআরবি সাত রাস্তার সামনে যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে যুবলীগের কর্মী সাজু পালিত (২৮) ও স্থানীয় শিশু আরমান (৮) নিহত হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় লিমনকে দ্বিতীয় প্রধান আসামি করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। সেসময়ও গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন লিমন।
এরপর ২০১৫ সালের নভেম্বরে অস্ত্র ও গুলিসহ লিমনকে গ্রেফতার করেছিল র্যাব। এসব মামলায় জামিনে থাকলেও সজল দাশ নামে লিমনের এক সহযোগীর কাছ থেকে বিদেশি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা অস্ত্র মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। কিশোর গ্যাং লিডার হিসেবেও আলোচিত সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা।
এদিকে গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম নতুন আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতের সামনে ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলার আসামি মোক্তারকে মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় লিমনের উপস্থিতি না থাকলেও সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে।
সিএমপির ডিবি দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার আলী হোসাইন বলেন, আদালতে ওই হামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও চাঁদাবাজি ও গ্যাং নিয়ন্ত্রণেরও নানা অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। তার সহযোগী সজল দাশের কাছে পাওয়া বিদেশি পিস্তলটি তার বলে জানা গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সজল দাশ বলেছেন, তাকে লিমনই পিস্তলটা রাখতে দিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর