২২ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:১৮

চসিক নির্বাচন: ইসিতে অর্ধশতাধিক অভিযোগ!

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চসিক নির্বাচন: ইসিতে অর্ধশতাধিক অভিযোগ!

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনকে ঘিরে মেয়র, সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলররা নানাভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন প্রতিনিয়িত। পোস্টার-ব্যানার ছেঁড়া, পক্ষে-বিপক্ষে প্রার্থীদের হুমকি, গাড়ি ভাংচুর, প্রচারণায় শ্লীলতাহানী, ছিনতাই, কর্মীদের উপর হামলাসহ সর্বশেষ অর্ধশতাধিকের উপরে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জমা পড়েছে। 

এসব বিষয়ে স্ব স্ব দায়িত্বশীলদের সরেজমিন তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনাও দেয়া রয়েছে। তবে একাধিক অভিযোগের বিষয়ে নিষ্পত্তিতে কোন ধরনের সত্যতার প্রমাণ পাননি দায়িত্বশীলরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রার্থীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, ইসি চসিক নির্বাচন নিয়ে দায়সারা ভূমিকা পালন করছেন। এতো বড় একটা মহড়া নিয়ে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন এমপিসহ বৈঠক করলেন, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও নিউজ ছাপানো হয়েছে। তাও দেখেননি। নির্বাচনী মাঠে বিভিন্ন কর্মীদের মারধর, পোস্টার ছেঁড়াসহ নানা বিষয়ে যথাযথ তদন্তও হচ্ছে না। তবে ইসিকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। এখানে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে চসিক নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠবে বলে জানান তারা।

চসিক নির্বাচনে পাহাড়তলী ওয়ার্ড এলাকার (৯, ১০ ও ১৩) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্বে থাকা রেজওয়ানা আফরিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমার এলাকায় নির্বাচনী বিষয়ে ২টি অভিযোগ পেয়েছি। সেই অভিযোগের ভিত্তিইে সমাধানও হয়েছে। তবে প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই চলার জন্য প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন বা রির্টানিং কর্মকর্তা বরাবরে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নানা বিষয়ে ৫৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এসব অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে স্ব স্ব দায়িত্বশীলদের বরাবরে চিঠিও দেয়া হয়েছে কম সময়ের মধ্যেই। তবে ২৭টি ঘটনার নিষ্পত্তিও করা হয়েছে। অভিযোগকারীদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন, ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আশরাফুল আলম, ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম, ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়ার সোয়েব খান, ১৩ নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত আসনের মনোয়ারা বেগম, চট্টগ্রাম নাগরিক ঐক্য পরিষদ, ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলির কাউন্সিলর প্রার্থী মোরশেদ আকতার চৌধুরী, মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর পক্ষে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শামস, বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের একান্ত সচিব মারুফুল হক চৌধুরীসহ ৫৩টি অভিযোগ রয়েছে। 

এখানে ২৭টি ঘটনার নিষ্পত্তিকৃতগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ ঘটনাই হচ্ছে তুচ্ছ। ছোট ঘটনাকে বড় করে উত্থাপন করা হয়েছে, যা তদন্তে সরেজমিনে পাওয়া গেছে। তাছাড়া একাধিক অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও প্রতিয়মান হয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর