চট্টগ্রামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে অপর আওয়ামী লীগ নেতার করা মানহানি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুরের বিরুদ্ধে মামলা পরবর্তীতে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-তোলপাড় শুরু হয়েছে। সোমবার চট্টগ্রামের বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বাশঁখালী আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভা আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট তোফায়েল বিন হোসাইন এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার চট্টগ্রামের বাঁশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই মামলা দায়ের করেন বাঁশখালী আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট এসএম তোফাইল বিন হোছাইন। দন্ডবিধি ৫০০, ৫০১, ৫০২ ধারায় মানহানির অপরাধে দায়েরকৃত ওই মামলাটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে অভিযুক্ত আবদুল গফুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বাদী এডভোকেট এস.এম. তোফাইল বিন হোছাইন বলেন, বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে আমার এবং আমার পরিবারের নামে নানা মিথ্যা প্রপাকান্ড চালাচ্ছে একটা চক্র। দলের কিছু মানুষ আমার জনপ্রিয়তা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্ররোচনায় প্রভাবিত হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুর। তিনি আমার পিতার নামে কুৎসা রটনা করে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড ও আওয়ামী লীগের সভাপতি বরাবর একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। এতে আমার পরিবারের মান ক্ষুন্ন হওয়ায় বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ বাঁশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলা দায়ের করি। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন