চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে নোবেল বিজ্ঞান বক্তৃতা’ শীর্ষক সেমিনার। চিকিৎসা ও শরীরবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে রবিবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে এ বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। দৃষ্টি চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।
মূল বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক ও গবেষক ড. মুশতাক ইবনে আয়ুব। প্যানেল আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. দ্বৈপায়ন সিকদার এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ বিভাগের প্রধান ও গবেষক ডা. ফারহানা আক্তার, অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া।
দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুলের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুদ্দিন মুন্না। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দৃষ্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান।
আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল ডিজিজ বায়োলজি অ্যান্ড মলিকুলার এপিডেমিওলজি রিসার্চ গ্রুপ, চিটাগাং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটি, নেটওয়ার্ক অফ ইয়ং বায়োটেকনোলজিস্ট অব বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউএসটিসি চ্যাপ্টার, ইউএসটিসি ফার্মা ডিবেটিং ক্লাব এবং হোয়াইট বোর্ড সাইন্স ক্লাব। সহযোগিতায় ছিল এলবিয়ান গ্রুপ ও আমেরিকান কর্নার চট্টগ্রাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, নোবেল পুরস্কার শুধু আবিষ্কারের জন্য দেওয়া হয় না, বরং দেখা হয় তা মানব কল্যাণে কতটুকু কাজে লাগছে। এ ধরনের বিজ্ঞান বক্তৃতা আগামী দিনের বিজ্ঞানী তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া দেশের সমস্যা সমাধান বের করতে বিজ্ঞান গবেষণা খুবই দরকার। চট্টগ্রামে এ ধরনের কাজ বেশি হওয়া উচিত।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর