চট্টগ্রামে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও নানা উপর্গের শিশু রোগী। গত কয়েকদিন ধরে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে করোনায় আক্রান্ত এবং নানা উপসর্গ নিয়ে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসছেন। তবে উপসর্গের রোগী বাড়লেও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে গত কয়েকদিন ধরে করোনার নানা উপসর্গ-সর্দি, কাশি, জ্বরসহ নানা উপসর্গ নিয়ে বহিঃর্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসছেন। ভর্তিও হচ্ছেন রোগীরা। তাছাড়া চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের শিশু আইসিইউতে ভর্তি আছে তিনজন, কেবিন ও ওয়ার্ডে আছে একজন করে দুইজন। ভর্তি আছে বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালেও।
চমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম বলেন, শিশুরা আক্রান্ত হওয়ার খবর বিভিন্নভাবে শোনা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতিও আছে। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন সবুজ বলেন, হাসপাতালের বহিঃর্বিভাগে প্রতিদিন করোনা উপসর্গ নিয়ে শিশু রোগী আসছে। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে টেস্ট করালে তাদের মধ্যে অনেকেই পজেটিভ হবে। তাছাড়া চেম্বারে সন্দেহজন চারজনের নমুনা টেস্ট করালে তিনজনই পজেটিভ হয়। এর আগে আরও তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাই এ ব্যাপারে অভিভাবকদের এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে। মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের শিশু আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ ডা. মিশু তালকুদার বলেন, আইসিইউতে তিনজন, কেবিন ও ওয়ার্ডে ভর্তি আছে দুইজন। শিশুরা পজেটিভ হওয়ার কারণ হল-ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট অন্যগুলো থেকে ইনফেকশন মাত্রা বেশি। সঙ্গে আছে মানুষের চরমমাত্রার অসচেতনতা। কারো মধ্যে ন্যূনতম সতর্কতা নেই, মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। হাসপাতালের শয্যায় থেকেও অনেকে মাস্ক পরছেন না। ফলে এর খেসারত চিকিৎসকসহ সবাইকে দিতে হচ্ছে। এরই মধ্যে গত কয়েকদিনের ব্যবধানে এখানকার দুইজন অধ্যাপক পজেটিভ হয়েছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে গত সোমবার নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৩ হাজার ৬৮৯ জনের, এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয় এক হাজার ৩৪৮ জন। সংক্রমণের হার ৩৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হন ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৬০ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৮২ হাজার ৭৮০ জন এবং উপজেলায় ৩০ হাজার ৬৮০ জন। ইতোমধ্যে মারা গেছেন এক হাজার ৩৪৬ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৭২৮ জন ও উপজেলায় ৬১৮ জন। চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি ১৫টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন