চট্টগ্রামের মিরসরাই খৈয়ারছড়া এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত আয়াত ইসলামও অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে টানা ছয়দিন তিনি মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। এ নিয়ে মিরসরাই ট্রাজেডিতে মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঞ্জুমানে খুদ্দামুল মুসলেমিন বাংলাদেশ (একেএমবি) আয়াতের মরদেহ বহন করে দাফন-কাফনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে।
জানা যায়, গত ২৯ জুলাই সকালে হাটহাজারী উপজেলার খন্দকিয়া গ্রামের আরএনজে কোচিং সেন্টার থেকে মিরসরাই খৈয়ারছড়া ঝর্ণায় বেড়াতে যায় ১৮ জনের একটি দল। দুপুরে ফেরার পথে খৈয়ারছড়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হন ১১ জন এবং আহত হন সাতজন। নিহতদের মধ্যে গাড়িচালক ছাড়া অন্যরা কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনার পর আহত সাতজনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন শনিবার সংকটাপন্ন অবস্থায় তাসফির হাসানকে এবং গত সোমবার আয়াত ইসলামকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে আয়াত শুক্রবার দুপুরে মারা যান। বর্তমানে চারজন নিউরো সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন এবং একজনকে ডিসচার্জ দেয়া হয়। সবার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আমান বাজারের খন্দকিয়া এলাকায়।
চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকেই তাসফিরের অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। কম ছিল অক্সিজেন স্যাচুরেশন। তাই তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। প্রথম থেকেই তাকে নিয়ে শঙ্কা ছিল। কারণ দুর্ঘটনায় তার মাথা ও ঘাড়ে আঘাত পায়। এরপর থেকে তার জ্ঞান ফিরেনি। চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেছেন। শুক্রবার সকাল থেকে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়ে যায়। দুপুরে তিনি মারা যান।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একেএমবি’র অফিস সমন্বয়ক মো. আবদুল্লাহ বলেন, আয়াতের মরদেহ হাসপাতাল থেকে গ্রহণ করে গোসল ও দাফন-কাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১১ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত আছেন। তাছাড়া মিরসরাইয়ের এ ঘটনায় নিহত ১১ জনের গোসল ও দাফন-কাফনও আমাদের টিমের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছিল।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল