বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রামে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় তাকে স্মরণ করা হয়েছে। চট্টগ্রামস্থ সহকারী ভারতীয় হাইকমিশনের সহযোগিতা ও চট্টগ্রাম চলচ্চিত্র কেন্দ্রের উদ্যোগে শুক্রবার ও শনিবার নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম মিলনায়তনে চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করা হয়।
উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ড. রাজীব রঞ্জন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শৈবাল চৌধুরী, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লোকপ্রিয় বড়ুয়া।
মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সত্যজিৎ রায় বাংলা চলচ্চিত্রের প্রাণ-পুরুষ। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশ্বের দরবারে সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার চলচ্চিত্রগুলো আমাদের কাছে শিক্ষণীয় হয়ে রয়েছে। চলচ্চিত্র ছাড়াও বিভিন্নভাবে বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। এজন্য আমরা তার কাছে ঋণী। চট্টগ্রাম চলচ্চিত্র কেন্দ্র তার জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এই বিশেষ আয়োজন করেছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ। আয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য আমি ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ড. রাজীব রঞ্জন বলেন, সত্যজিৎ রায় ভারতীয় তথা বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশ্বে চলচ্চিত্রে সসম্মানে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বহুমুখী প্রতিভাবান এই মহান চলচ্চিত্রকারের জন্মশতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
অনুষ্ঠানমালার প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয় সেমিনার। সেমিনারে ‘সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র দর্শন’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি ও সাংবাদিক নাজিমুদ্দীন শ্যামল। মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন কবি কমলেশ দাশগুপ্ত, সত্যজিৎ গবেষক আনোয়ার হোসেন পিন্টু, সংস্কৃতিজন ও লেখক আলম খোরশেদ, চলচ্চিত্র কর্মি মিজানুর রহমান ও কবি মনিরুল মনির।
উদ্বোধনের পর প্রদর্শিত হয় সত্যজিৎ রায়ের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘টু’ এবং পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘কাঞ্চনঝঙ্ঘা’। শনিবার প্রদর্শিত হয় ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’, ‘পথের পাঁচালী’, ‘অশনি সংকেত’ ও সত্যজিৎ রায় পরিচালিত শেষ চলচ্চিত্র ‘আগন্তুক’।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
