চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পসহ চলমান বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে চট্টগ্রাম শহরের সড়ক যোগাযোগখাত উন্নতির স্বর্ণশিখরে পৌঁছে যাচ্ছে। তবে এই সড়ক যোগাযোগকে নিরাপদ করতে জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াসে গণমাধ্যমের ভূমিকা অগ্রণী। গণমাধ্যমে প্রতিবেদনের মাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে উঠে।
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সভা উদ্বোধন করেন চসিকের চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা।
ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটির (বিআইজিআরএস) আওতায় চসিক ও ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস এ সভার আয়োজন করে। কর্মশালায় সড়ক নিরাপত্তার ঝুঁকিসমূহ এবং সেগুলো প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইজিআরএসের চট্টগ্রাম সার্ভিলেন্স কোঅর্ডিনেটর কাজী সাইফুন নেওয়াজ এবং রোড ডিজাইন বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইজিআরএসের চট্টগ্রাম ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেটর মাহিয়াত হাসনা। সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে আলোকপাত করেন সাংবাদিক শাহনাজ শারমিন। উপস্থিত ছিলেন চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহীন-উল ইসলাম চৌধুরী এবং জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ।
বিআইজিআরএসের চট্টগ্রাম সার্ভিলেন্স কোঅর্ডিনেটর কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, বিআরটিএ’র হিসাবে চট্টগ্রাম যান্ত্রিক যানবহনের ৭৯ শতাংশ মোটরসাইকেল। তাই নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে হলে মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ব্যবহার বিষয়ে জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে শহরের ভেতরে যানবাহনের গতি নির্ধারণ করে দিতে হবে। তাছাড়া, শহরের সড়কগুলোকে পথচারী বান্ধব করতে হবে। সেই সঙ্গে সাইকেল লেন ও উন্নত গণপরিবহন নিশ্চিত করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম