২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২০:৩৫

জাতীয় পার্টির প্রার্থী আওয়ামী লীগের দুয়ারে, স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোটারের দুয়ারে

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

জাতীয় পার্টির প্রার্থী আওয়ামী লীগের দুয়ারে, স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোটারের দুয়ারে

চট্টগ্রামের দুই আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়েছে আওয়ামী লীগ। এ দুই আসনে নৌকার প্রার্থী না থাকলেও রয়েছে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী। ফলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশের কাঁধে ভর করে বিজয়ী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর জাতীয় পার্টির নেতারা। অন্য প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলে সেখানে ব্যতিক্রম জাপার প্রার্থীরা। তারা ঘুরছে আওয়ামী লীগের পিছনে। এতে জাতীয় পার্টির দেউলিয়াত্ব আর ভিত্তিহীন সাংগঠনিক শক্তিকে দায়ী করছেন দু’দলের নেতারা।

জানা যায়, চট্টগ্রাম-৫ আসনের প্রার্থী জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে সোলায়মান আলম শেঠ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাঠে না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. শাহজাহান। যদিও ব্যারিস্টার আনিসের সাথে লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী নাজিম উদ্দীন ও বোয়ালখালী আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালামের সাথে। ভিপি নাজিম চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন ও জাতীয় ছাত্রলীগের প্যানেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি। আবদুচ ছালাম নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএর ১০ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন।

ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-৮ আসনে ২০০৮ সালে এমপি ছিলেন জাসদ নেতা প্রয়াত মঈনউদ্দীন খান বাদল। তার মৃত্যুর পর দীর্ঘ কয়েক দশক পর দলীয় এমপি পায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ। তবে এবারও আসনটি হাতছাড়া হচ্ছে দলটির। জোটগতভাবে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিলেও এ এলাকায় জাতীয় পার্টির শক্ত কোনো ভিত্তি নেই। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠেরও ব্যক্তিগত কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। যার কারণে এমপি হওয়ার জন্য স্বতন্ত্র ও অন্য দলের প্রার্থীরা যেখানে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন সেখানে সোলায়মান শেঠ ঘুরছেন আওয়ামী লীগের নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে।

হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ ৪৮ বছর পর হাটহাজারী আসনে দলীয় এমপি ও নৌকা প্রতীক চেয়ে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুতি জানিয়েছিলাম আমরা তৃণমূল আওয়ামী লীগ। কিন্তু ‘নির্বাচনী কৌশলে’র কারণে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিতে হয়েছে আসনটি। যদিও এখানে জাতীয় পার্টির শক্ত ভিত্তি নেই। যার কারণে ভোটারদের চেয়ে সুবিধাবাদী কিছু আওয়ামী লীগের ওপর নির্ভর করে অতীতের মতো নির্বাচনি বৈতরণী পার হতে চাচ্ছেন তিনিও।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর