বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকারী নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি এবং গণধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সাবেক তিন মন্ত্রী, সিটি মেয়র এবং একাধিক সাবেক এমপিসহ সাড়ে ৮০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা-হলেন সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাইফুজ্জামান চৌধুরী, চসিকের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, রেজাউল করিম চৌধুরী, কুমিল্লার সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা, সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, সাবেক এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, ফজলে করিম চৌধুরী, আব্দুস ছালাম, মুজিবুর রহমান, মহিউদ্দিন বাচ্চু, আবু রেজা নদভী অন্যতম।
সোমবার রাতে সিএমপি’র সদরঘাট থানায় মামলাটি দায়ের করেন মোমেন হোসেন জয় নামে এক ব্যবসায়ী।
সিএমপি’র সদরঘাট থানার ওসি রমিজ আহমদ বলেন, ‘আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং নারী শিক্ষার্থীদের ওপর যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সাবেক তিন মন্ত্রী, তিন মেয়র, একাধিক এমপিকে আসামি করা হয়। মামলায় ২৬৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।’
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বেলা ১১টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১০টা পর্যন্ত বাদী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছিলেন। এ সময় আসামিরা সিটি কলেজের সামনে থেকে ইসলামিয়া কলেজ মোড়সহ আশপাশের অলি-গলি থেকে তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি, কাঠের লাঠি, ইট-পাথর, লোহার রড ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ সজ্জিত হয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এসময় আসামিদের হাতে থাকা, অস্ত্র, লাঠিসোঁটা দ্বারা এলোপাতাড়ি বেধড়ক মারধর করা শুরু করে এবং গুলি বর্ষণ, ককটেল ও বিভিন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নারী শিক্ষার্থীদের মারধর করে অশ্লীল গালিগালাজ করে। উপস্থিত জনতার সামনে নারী শিক্ষার্থীদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে হেনস্তা করে এবং গণধর্ষণের হুমকি দেয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই