চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার আলোচিত রেবেকা সুলতান মনি হত্যা মামলায় একনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় আদালত একজনকে খালাস দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত এই রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন, নেজাম উদ্দিন ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি হলেন ভোলার চরফ্যাশন থানার দক্ষিণ চর আইচা গ্রামের আবদুল হালিম। অপরদিকে খালাসপ্রাপ্ত আসামি হলেন আবু সিদ্দিক রুবেল।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বলেন, ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে রেবেকা সুলতান মনি হত্যা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি নেজাম উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই মামলার আসামি আবদুল হালিমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি আবু সিদ্দিক রুবেলকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রায়ের সময় নেজাম উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আবদুল হালিম পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা মূলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১১ মে একটি ফ্ল্যাটের কক্ষে আব্দুল হালিমের নির্দেশে নেজাম উদ্দিন রেবেকা সুলতান মনিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে কক্ষটি তালাবন্ধ করে পালিয়ে যান। আরও জানা যায়, আবু সিদ্দিক রুবেল ঘটনাস্থলে আসামীরা রেবেকা সুলতান মনিকে হত্যা করে মরদেহ গুম করে রাখার বিষয়টি অবগত থেকেও কাউকে জানান নি। ফ্ল্যাটে দুর্গন্ধ বের হওয়াতে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৩ মে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়ে দেন।
এঘটনায় বায়েজিদ থানার এসআই রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগ পত্র দেন। ২০২২ সালের ১ আগস্ট তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
বিডি প্রতিদিন/আশিক