চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালটি পরিচালিত হয় মানুষের অনুদানের অর্থ দিয়ে। এখানে তুলনামূলক কম মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। ফলে এটি গরীবের হাসপাতাল হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।
শনিবার এই গরীরবের হাসপাতালের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। নির্বাচন উপলক্ষ্যে উৎসব আমেজ দেখা দিয়েছে। পুরো হাসপাতাল জুড়ে প্রার্থীদের প্রচারণার পোষ্টার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, এবারের নির্বাচনে সাধারণ ভোটার ৯ হাজার ৭৪৪ এবং ডোনার ভোটার ৩৯৪ জন। নির্বাচনে সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন-রেজাউল করিম আজাদ এবং ডা. কামরুন নেছা রুনা-ডা. এম মাহফুজুর রহমান নামে পৃথক দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বি তা করছে। প্যানেলের বাইরে সদস্য পদে স্বতন্ত্র ৪৩ জন নির্বাচন করছেন। ২৪টি পদ থাকলেও তিনটি পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ভোট গ্রহণের জন্য আছে ৩৩টি বুথ। প্রতিটি বুথে একজন প্রিজাইডিং অফিসার, একজন পুলিং অফিসার ও একজন কেন্দ্র সহায়ক দায়িত্ব পালন করবেন। হাসপাতালের পুরনো ভবন এবং মহিলা হোস্টেল ভবনে ভোটগ্রহণ করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারি কমিশনার মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ভোট গ্রহণের জন্য প্রিজাইটিং অফিসার, পুলিং অফিসার, কেন্দ্র সহায়ক এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবেন। সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করি, সবার সহযোগিতায় সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারব।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল