চট্টগ্রাম গত জানুয়ারি থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৬৯ জন চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জন আক্রান্ত হয়। তবে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোনো ঘটনা নেই। এর আগে বেসরকারি দুটি ল্যাবে মোট ৫৬৬টি নমুনায় ৪৪২টি পজেটিভ আসে, প্রায় ৭৮ শতাংশ।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এতদিন সরকারিভাবে চিকুনগুনিয়ার তথ্য সংগ্রহ না হলেও গত কয়েকদিন ধরে তা করা হচ্ছে।
বর্তমানে চট্টগ্রামে সরকারিভাবে আরটি-পিসিআর ল্যাবে চিকুনগুনিয়ার টেস্ট করা হয় না, এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ দেখা দিলে রোগীরা বেসরকারি ল্যাবে আরটি-পিসিআর টেস্ট করাচ্ছেন। কিন্তু টেস্টের মূল্য বেশি হওয়ায় অনেকেই পরীক্ষাও করাচ্ছেন না। ডেঙ্গু ও করোনার আরটি-পিসিআর টেস্টের দাম দুই হাজার টাকা হলেও চিকুনগুনিয়া টেস্ট ফি ৫ হাজার ১০০ থেকে ৬ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। দাম বেশি হওয়ায় অনেক রোগী শনাক্তের বাইরে থাকার সম্ভাবনাও দেখা দেয়।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, চিকুনগুনিয়া প্রতিনিয়তই আক্রান্ত হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গত ২৪ জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৬৬৯ জন আক্রান্ত হয়। তবে কোনো মৃত্যুর ঘটনা নেই। তিনি বলেন, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় মশাবাহিত রোগ। চিকুনগুনিয়ায় ব্যথা ও জ্বর বেশি হলেও মৃত্যু ঝুঁকি কম। তবে কর্মক্ষমতা কমায় ফেলে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. এএসএম লুৎফুল কবির বলেন, এখন হাসপাতালের অন্তবিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রাইভেট চেম্বারে জর নিয়ে আসা রোগীদের মধ্যে অর্ধেকেরই বেশি চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হচ্ছে। অতীতের চেয়ে এখন এটি বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তাই সবাইকে অবশ্যই সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম