প্রায় ২০ বছর ধরে জায়গাটি দখল করে রেখেছিলেন প্রভাবশালীরা। সিটি করপোরেশনের জায়গায় কেউ বানিয়েছেন মিষ্টি তৈরির কারখানা, কেউ নির্মাণ করেছেন কলোনি, আধাপাকা ঘর। পরের জায়গায় ঘর করে তুলেছেন ভাড়া। ২০ বছর পর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে কোটি টাকা মূল্যের এই জায়গা উদ্ধার করেছে।
নগরীর জল্লারপাড়ে উদ্ধারকৃত এ জায়গা ফের যাতে বেদখল না হয় সেজন্য ওই জায়গায় দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে ও লেক নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব।
সিসিক'র প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়- প্রায় ২০ বছর ধরে সিটি করপোরেশনের জায়গাটি দখল করে রেখেছিলেন ৯ জন প্রভাবশালী। দখলদাররা হলেন- আনোয়ার বকস, সাবের খান, ফয়জুল হোসেন মিনা মিয়া, তফজ্জুল হোসেন, শাফি মিয়া, মীর হোসেন, লাল মিয়া, শেফালী বেগম ও ফারহানা ইয়াসমিন। সিটি করপোরেশন থেকে বারবার নোটিশ দেয়ার পরও তারা জায়গাটি থেকে স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছিলেন না। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সিসিক'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীবের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে দখলদারদের স্থাপনা উচ্ছেদ করে জায়গা উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে এনামুল হাবীব বলেন, সিটি করপোরেশনের জায়গা যাতে আবারও দখল না হয় সেজন্য উদ্ধারকৃত জায়গার চারপাশে সীমানা দেয়াল নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ওই জায়গায় দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে ও লেক তৈরি করা হবে। এতে নগরীর সৌন্দর্য্যও বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, আগামীতে জল্লারপাড় থেকে তালতলামুখী প্রবাহমান বলরামের খালটির অংশ বিশেষ যারা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদেরকেও উচ্ছেদ করা হবে।
বলরামের খাল উদ্ধার সম্ভব হলে নগরীর জিন্দাবাজার, জল্লারপাড় ও তালতলা এলাকায় জলাবদ্ধতা কমে আসবে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নূর আজিজুর রহমান।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ অক্টোবর ২০১৫/ এস আহমেদ