ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতির উন্নয়ন, রাজনীতিতে ঐক্য ও দেশের সামগ্রিক ক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য দুই নেত্রীকে এক টেবিলে বসা দরকার। দেশকে বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাঁড় করাতে দুই নেত্রীর সদিচ্ছাই যথেষ্ট।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ‘আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফাউন্ডেশনের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মুহাম্মদ কুতুব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী এম নাজিমুদ্দিন আল আজাদ, আলোচনায় অংশ নেন ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লায়ন জাফর উল্লাহ, মহাসচিব মাওলানা আবেদ আলী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুক্তিযোদ্ধা এসএম মর্তুজা হোসেন, নগর মহিলা শাখার সভাপতি মনোয়ারা বেগম হেনা, মো. ইকবাল হোসেন, মিজানুর রহমান মজুমদার, সৈয়দ মো. আমান উল্লাহ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, কিছু দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। আমি সরাসরি বলেছি, উন্নয়নের দিক থেকে আপনি দৃশ্যমান অনেক কিছু করেছেন। তা প্রশংসনীয়ও বটে। কিন্তু বর্তমানে দেশে মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সরকারের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এ বিষয়ে সরকারের বিশেষভাবে নজরদারি রাখা উচিত।
নাজমুল হুদা বলেন, সংবিধানে বলা আছে, ‘রাষ্ট্রের ক্ষমতার মালিক জনগণ। ভোট জনগণের শক্তি। ভোট দিতে না পারলে জনগণ শক্তিহীন। বিদেশি শক্তি, সন্ত্রাসীরা যদি কাউকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়, সেই সরকার কেন জনগণের দিকে থাকাবে? অতীতে দেখেছেন, আপনার ভোট অন্যজন দিয়ে দিয়েছে। ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয়েছে। কেন্দ্র দখল করে ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমি তখন বলি, ‘জনগণ সকল অক্ষমতার মালিক।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উদ্দেশে নাজমুল হুদা বলেন, আপনি কেন অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে রেখেছিলেন? কেন প্রথম দিনের পরই তা প্রত্যাহার করে নিলেন না? তখন যে জ্বালাও-পোড়াও হয়েছে তার দায় আপনাকে নিতে হবে। অবরোধ কর্মসূচি যেহেতু হিংসাত্মক, ধ্বংসাত্মক কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছিল। তাই এর দায় তিনি কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ ফেব্রুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন