ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে সাবেক ছাত্রলীগের নেতা ও তার স্ত্রীকে মারধর এবং আটক করার অভিযোগ ওঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার জের ধরে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা থানায় হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রহিম জিল্লুর ও তার স্ত্রীকে ছাড়িয়ে নেয়।
শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
জিল্লুর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু ছবি বিকৃতির অভিযোগে সংসদ সদস্য এম এ লফিতের বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের হওয়া মামলার বাদি।
পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে হোটেলে আল ইসলামিয়ায় অভিযান চালিয়ে জিল্লু ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়। অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে তাদের আটক করা হলেও তারা স্বামী-স্ত্রী তা পরে জানতে পারে পুলিশ। এ ঘটনার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা থানায় হামলা ও ভাঙচুর করেছে। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আব্দুর রহিম জিল্লু জানান, বিয়ে হলেও স্ত্রীকে এখনও ঘরে উঠিয়ে নেয়া হয়নি। বিকেলে আল ইসলামিয়া হোটেলে দেখা করতে আসি। এসময় ওসি মইনুল ইসলাম ভূঁইয়া হোটেলে প্রবেশ করে ‘আমার রুমে বাইরের লোক কেন’ এমন চিৎকার-চেঁচামেচি করে তিনি ম্যানেজারকে মারধর শুরু করেন। তাকে রক্ষা করতে গেলে আমাকে পেটাতে থাকেন ওসি। তারপর আরও চার পুলিশ এসে আমাকে রুমের ভেতরে পেটায়। তারপর আমাকে লকআপে ঢুকিয়ে আমার স্ত্রীকে ডিউটি অফিসারের কক্ষে বসিয়ে রাখে। আমি ও আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে আমাদের আদালতে চালান দেয়ার নির্দেশ দেন ওসি।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ মার্চ ১৬/ সালাহ উদ্দীন