বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্ত্বরেই পোড়ানো হলো দীর্ঘদিন জমে থাকা ব্যবহার অনুপযোগি মালামাল। পুরনো ম্যাট্রেস, চাঁদর, বালিশ, মশারিসহ অন্যান্য মালামাল পোড়ানোয় ঝাঁঝালো গন্ধ ও কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা হাসপাতাল এলাকা। কর্তৃপক্ষের এমন কাণ্ডে ক্ষুব্ধ রোগীদের স্বজনরা।
এদিকে খোলা আকাশের নিচে কিংবা হাসপাতাল চত্ত্বরে পুরনো মালামাল পোড়ানোর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন অনুমতি নেয়নি বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সুকুমার বিশ্বাস।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এস এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে হাসপাতালের রোগীদের বিভিন্ন সময় ব্যবহৃত পুরনো মালামাল পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। এ কারনে হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোর স্টোরে ভালো মালামাল রাখার জায়গা ছিল না। তাই স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অনুমতি স্বাপেক্ষেই পুরনো মালামাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
হাসপাতাল ভবনের ৫০ গজের মধ্যেই খোলা পরিবেশে জীবানুবাহী এসব মালামাল পুড়িয়ে পরিবেশ দুষিত করার বিষয়ে পরিচালক বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য হাসপাতালে একটি মেশিন রয়েছে। কিন্তু সেটা স্থাপনের পর থেকেই বিকল হয়ে পড়ে আছে। তাই হাসপাতালের পাশেই খোলা আকাশের নিচে এসব মালামাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। অনেক আগে থেকেই ওই স্থানে পরিত্যাক্ত মালামাল পোড়ানো হচ্ছে বলে পরিচালক জানান।
অবশ্য বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সুকুমার বিশ্বাস বলেন, খোলা আকাশের নিচে, ঘনবসতি কিংবা হাসপাতাল এলাকায় কোন প্রকার ময়লা আবর্জনা পোড়ানোর অধিকার কারও নেই। নদীর পাড় কিংবা যেখানে কোন ঘন বসতি বা স্থাপনা নেই সেখানেই মালামাল পোড়ানো যাবে। তাও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি সাপেক্ষে।
বিডি-প্রতিদিন/০৫ এপ্রিল ২০১৬/ এস আহমেদ