বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা অর্থপাচার মামলায় দেয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের আপিলের শুনানি আগামী ৪ মে।
বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
গত ৩১ মার্চ বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সমন জারি করার আদেশ দিয়েছিলেন।
এদিকে বিএনপিপন্থি কিছু আইনজীবীদের দেখা গেলেও তারেক রহমানের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
উল্লেখ্য, রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দুর্নীতির অভিযোগ এনে একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা গ্রহণ করেন। সিঙ্গাপুরে এ টাকা লেনদেন করা হয়।
এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।
মামলায় তারেক রহমানকে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর বেকসুর খালাস দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত। তারেকের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়।
পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত। বিচারিক আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে, তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন হাই কোর্ট। তবে এখনো বিচারকি আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি বিএনপির সিনিয়র এ নেতা।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ এপ্রিল, ২০১৬/হিমেল