দীর্ঘ তিনমাস লাইফ সাপোর্টে থাকার পর অবশেষে মারা গেলেন অধ্যাপক খোন্দকার সিরাজুল হক। বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
খোন্দকার সিরাজুল হক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক সভাপতি। গবেষণায় সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১২’ লাভ করেন সিরাজুল হক। এ ছাড়া গবেষণা-সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ‘সা’দত আলী আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার ২০১১’ প্রদান করা হয় তাকে। ১৯৬৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে যোগদান করা এই কৃতি গবেষক ২০০৬ সালের পর থেকে অবসর জীবনযাপন করছিলেন।
অধ্যাপক সিরাজুল হকের বড় ছেলে জাহাঙ্গীর সিরাজ জানান, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমির বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করতে সিরাজুল হক ঢাকায় আসেন। ২৭ ডিসেম্বর বিকেলে সৈয়দ শামসুল হকের এক অনুষ্ঠান শেষে নিউ ইস্কাটনে এক স্বজনের বাসায় যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত অসুখে আক্রান্ত হলে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক অমৃতলাল বালা জানান, সপ্তাখানেক আগে তাকে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। অমৃতলাল বালা বলেন, ‘একজন লেখক ও গবেষক হিসেবে খোন্দকার সিরাজুল হকের খ্যাতি সারাদেশে। তার মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্যের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।
অমৃতলাল বালা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে তার মরদেহ আনা হবে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার জানাজার নামাজ শেষে নগরের সাহেববাজার বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ শেষে দাফন করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ এপ্রিল ১৬/ সালাহ উদ্দীন