চট্টগ্রাম বন্দর ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করেছে কারশেড। প্রায় এক বছর আগে নির্মাণ কাজ শেষ হলেও তা চালু করা হয়নি। তবে আগামী ৭ মে সকালে এটি উদ্বোধন করা হবে। ৯০০ গাড়ির ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন কারশেডটি নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খানের উদ্বোধন করার কথা।
বন্দর স্টেডিয়ামের বিপরীত পাশে কাস্টম অকশন শেড সংলগ্ন এলাকার ৫ একর জায়গায় ২০১৪ সালের ৯ মে কারশেডের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, নবনির্মিত কারশেড আমদানিকারকদের মূল্যবান গাড়িগুলোর নিরাপত্তা দেবে। একই সঙ্গে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও নতুন মাত্রা যোগ করবে। বিশেষ করে বন্দরের জেটি, ইয়ার্ড, জীর্ণশীর্ণ যেসব শেডে আমদানি করা গাড়ি রাখা হচ্ছে সেটি কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং কাজে ব্যবহার করা যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম বলেন, নতুন কারশেডের ২০০ মিটার রাস্তার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের অনুমোদন না পাওয়ায় এটি চালু করা যায়নি। বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়াতে আগামী ৭ মে চালু করা হচ্ছে। এটি চালু হলে খোলা আকাশের নিচে গাড়ি রোদে পোড়া ও বৃষ্টিতে আর ভিজবে না। তাছাড়া চাকা ও গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির ঝামেলাও কমবে।
জানা যায়, ইস্পাতের (স্টিল) কাঠামোর ওপর ছাউনি দেওয়া ১ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট মেঝের কারশেড তৈরি হয় গত বছরের ৮ মে। তৈরির পরই হলুদ রং দিয়ে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, জিপ গাড়ি রাখার মার্কিংও করা হয়। যেখানে আট সারিতে ১০০ করে ৮০০ গাড়ি এবং দুই সারিতে ৫০ করে ১০০ গাড়ির জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। শেডের চারপাশে একদিকে চলাচলের উপযোগী ২০ ফুট চওড়া সড়ক এবং সারির মাঝে ১৫ ফুট করে জায়গা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে গাড়ি আনা-নেওয়ার জন্য।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ এপ্রিল ১৬/ সালাহ উদ্দীন