বরিশাল সরকারী ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ডা. বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রী নিবাসে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। গত রবিবার রাতে সংঘর্ষের সময় কক্ষ ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চার আবাসিক ছাত্রী আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ডা. বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রী নিবাসের আবাসিক ছাত্রী কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মঈন তুষারের অনুসারী ঝুমুর ও জান্নাতের সঙ্গে নাহিদ সেরনিয়াবাতের অনুসারী নাইমা ও মনিরার সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে পুরনো দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর জেরে রবিবার সন্ধ্যায় ছাত্রীনিবাসের ক্যান্টিনে উভয় গ্রুপ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাইমা ও মনিরা সহযোগিদের নিয়ে ঝুমুরের কক্ষে হামলা করে। তারা ঝুমুর এবং জান্নাতকে মারধর শেষে কক্ষের বিছানাপত্র বাইরে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ছাত্রী নিবাসের সহকারী সুপার নাসির উদ্দিন সেখানে গিয়ে বিষয়টি সমঝোতা করিয়ে দেন। পরে রাত ১০টার দিকে উভয় গ্রুপ আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে কলেজ অধ্যক্ষ ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ছাত্রলীগ নেত্রী মনিরার অভিযোগ, হেনার অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তারা মারধরের শিকার হয়েছেন। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী হেনা আক্তারের মুঠোফোনে রিং দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর স.ম. ইমানুল হাকিম জানান, ঘটনা তেমন কিছুই নয়। আগে থেকে যা ঘটে এসেছে তারই পুনরাবৃত্তি হয়েছে। হলের এক জুনিয়র ছাত্রী অপর এক সিনিয়র ছাত্রীর গায়ে হাত দিয়েছে। এ নিয়ে তাদের মাঝে একটু ঝামেলা হয়েছিল। কলেজ প্রশাসন এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মহিলা পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় দোষী ছাত্রীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে অধ্যক্ষ জানান।
বিডি-প্রতিদিন/৯ মে ২০১৬/শরীফ