পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিককে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে দেলোয়ার হোসেন পুলিশকে জানিয়েছে, তিনি প্রায় পাঁচ বছর আগেই তার এই মোটরসাইকেলটি ৭০ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে এই মোটরসাইকেলের বিষয়ে তার কিছু জানা নেই।
সোমবার গভীর রাতে মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন নামের ওই মোটরসাইকেল মালিককে আটক করা হয়। তবে তার আটকের বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত করেছে মঙ্গলবার।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই দেলোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়েছে। এখনো তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি।
পুলিশ জানায়, মিতু হত্যাকাণ্ডে যে মোটরসাইকেলটি ব্যবহৃত হয়েছে সেই মোটরসাইকেলের নম্বরটি ছিল ভুয়া। একই নম্বরের মোটরসাইকেল প্রকৃত মালিকের কাছেই রয়েছে। উদ্ধারকৃত ‘চট্ট মেট্রো-ল-১২-৯৮০৭’ নম্বরের মোটরসাইকেলটি বিআরটিএ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের তথ্য মতে, মো. আবদুর রহিমের নামে নিবন্ধিত। তার পিতার নাম মৃত সৈয়দ আহমেদ। ঠিকানা-১৮/১৯ টেরিবাজার, সিটি টাওয়ার, চট্টগ্রাম। ২০১৪ সালে মোটরসাইকেলটির নিবন্ধন করা হয়। মোটরসাইকেলটি তার হেফাজতেই রয়েছে।
পরে উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বরের সূত্র ধরে এই মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিক দেলোয়ার হোসেনকে নগরীর জামালখান এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। আটক মোটরসাইকেলটির প্রকৃত নম্বর চট্ট মেট্রো-হ-১৩-১৫৯৭। এর মালিক নগরির জামাল খান এলাকার মৃত গোলাম শরীফের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন। ২০১০ সালে গাড়িটি নিবন্ধন করা হয়।
এদিকে আটকের পর দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, তিনি ২০১১ সালেই এই মোটারসাইকেলটি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি এই মোটরসাইকেলের ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ