গাজীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা নুরুল ইসলামসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া নিম্ন আদালতে দণ্ডাদেশ পাওয়া বাকি ২২ আসামির মধ্যে ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি আসামিদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে।
এদিন, আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও রোনা নাহরীন।
বাদীপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম, আবদুল মতিন খসরু প্রমুখ। অপরদিকে, আসামিপক্ষে আপিল শুনানিতে অংশ নেন বিচারপতি টিএইচ খান, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এ জে মোহাম্মদ আলী।
২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন নিহতের ভাই মতিউর রহমান ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে টঙ্গী থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১০ জুলাই ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। একই বছরের ২৮ অক্টোবর ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ৩৪ জন এবং আসামিপক্ষে দুজন সাক্ষ্য দেন।
এই মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, খালাস পান অন্য দুজন।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টার ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে টঙ্গী থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি গাজীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী এই সভাপতি ছিলেন এলাকায় জনপ্রিয় নেতা।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ জুন, ২০১৬/মাহবুব