গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই জনকে আটক করার কথা জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। তবে তাদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
সোমবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন মিলনায়তনে এক শোকসভার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইজিপি বলেন, ''গুলশানের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই জনকে আটক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।''
শুক্রবার রাতে গুলশানের হোলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর দেশি-বিদেশি অতিথিরা আটকা পড়েন। প্রায় ১২ ঘণ্টার পর কমান্ডো অভিযানে জিম্মি সঙ্কটের অবসান হয়। অভিযান শেষে সেনা সদস্যরা ওই ক্যাফের ভেতরে ২০ জিম্মির লাশ পান, যাদের ১৭ জনই বিদেশি নাগরিক।
ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আর হামলাকারীদের মধ্যে ছয়জন নিহত হয়েছে, আটক করা গেছে একজনকে। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি।
জিম্মি সঙ্কটের মধ্যেই শনিবার ভোরের আগে ওই ক্যাফের পেছন থেকে আনুমানিক ২০ বছর বয়সী এক তরুণকে ‘সন্দেহজনক আচরণের কারণে’ রক্তাক্ত অবস্থায় আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। তার পরিচয় কী, তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কি না- সে তথ্যও পুলিশ প্রকাশ করেনি।
শনিবার সকালে অভিযান শেষে ওই ক্যাফে থেকে উদ্ধার জিম্মিসহ অন্তত ২৭ জনকে নিয়ে যাওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে। পরে তাদের বক্তব্য শুনে যাচাই বাছাই করে অনেককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, উদ্ধার হওয়া ১৩ জনের মধ্যে অন্তত দুইজন পুলিশ হেফাজতে আছেন। তারা হলেন তাহমিদ হাসিব খান ও নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসানাত রেজা করিম। তবে তাদের গ্রেফতার করা হয়নি। তাদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
শাহরিয়ার খান নামের এক ব্যবসায়ীর ছেলে তাহমিদ (২২) কানাডা থেকে দেশে ফিরে শুক্রবার ইফতার শেষে বন্ধুদের সঙ্গে হোলি আর্টিসান বেকারিতে গিয়েছিলেন। আর হাসানাত করিম তার মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন বলে স্বজনরা পুলিশকে বলেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ