এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার অন্যতম সন্দেহভাজন আসামি নুরুল ইসলাম রাশেদ ওরফে ভাগ্নে রাশেদ ও আবদুল নবী পুলিশের সঙ্গে কথিত 'বন্দকযুদ্ধে' নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হন পুলিশের তিন উপ পরিদর্শক আজহার, এনাম এবং সিকান্দার।
সোমবার ভোর রাতে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয় উপজেলার রানীরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই তিনজনের মধ্যে আবদুল নবী মিতুকে ছুরিকাঘাত করেন এবং রাশেদ বেকআপ টিম হিসেবে ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে জানা গেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, ‘সোমবার ভোর রাতে মামলার রাশেদ নিয়ে অভিযানে যায়। এসময় এক দল সন্ত্রাসী পুলিশের ওপর হামলা করে। এসময় দু'পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।’
নিহত রাশেদের ছোট ভাই শহীদুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘গত ২৩ জুন বোয়ালখালী থেকে রাশেদকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও পুলিশ রাশেদকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করছে। এখন তাকে খুন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি রাশেদ, ওয়াসিম এবং আবদুন নবীকে আটকের পর একই কক্ষে রাখা হয়। তিনদিন তারা একই কক্ষেই ছিলেন। পরে ওয়াসিমকে পুলিশ গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে।’
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন নগরীর জিইসি’র মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুবৃর্ত্তদের হাতে খুন এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার অজ্ঞাতনামাদের আসামিদের একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে।
বিডি-প্রতিদিন/০৫ জুলাই, ২০১৬/মাহবুব