'রোহান যখন ক্লাস নাইনে ছিল তখন সে অনেক ভীত ছিল। একদিন বাসার ফ্লোরে একটি তেলাপোকা দেখে ওকে স্যান্ডেল দিয়ে মারার কথা বললে ও ঘর থেকে পালিয়ে যায়। সেই ছেলে কিভাবে এমন অপকর্মের সাথে জড়ালো তা ভেবে পাই না।' কথাগুলো বলছিলেন গুলশানে হলি আর্টিসান রেষ্টুরেন্টে অপারেশন থান্ডার বোল্টে নিহত জঙ্গী সম্পৃক্ততায় অভিযুক্ত রোহান ইমতিয়াজের বাবা ইমতিয়াজ আহমেদ খান বাবুল।
সোমবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে টেলিফোনে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি আরও বলেন, ‘পরের ছেলেকে আমি হেদায়েত করি, কিন্তু নিজের ছেলেকে পারলাম না। কখন কিভাবে সকলের অগোচরে সে ওই লাইনে চলে গেল বুঝতেই পারিনি। বাবা হিসেবে আমার কষ্টের কথা, লজ্জার কথা কাকে বলবো। এখন মনে হচ্ছে আমি একজন ব্যর্থ বাবা।’
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীসহ সরকারের বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বহু ছেলে আমার ছেলের মতো নিখোঁজ রয়েছে। অনুরোধ করি আমার ছেলের মতো এখনও যাদের সন্তান নিখোঁজ রয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে ভুল পথ থেকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিন।’
ইমতিয়াজ আহমেদ খান বাবুল জানান, রোহান যখন ক্লাস ফাইভে পড়ে তখন তার দাদা বাসায় বেড়াতে আসেন। দুই মাস অবস্থানকালে বাসার বিপরীত দিকে অবস্থিত মসজিদে রোহানকে সঙ্গে নিয়ে নামাজ পড়তে যেতেন তার দাদা। ওই থেকে রোহান নিয়মিত নামাজ পড়তো। ছয়মাস আগে রোহান নিখোঁজ হয়। এর আগ পর্যন্ত তার মধ্যে কোন প্রকার অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেননি।
বিডি প্রতিদিন/৫ জুলাই ২০১৬/হিমেল-০৭