ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার মামলায় জঙ্গি হামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক এ আদেশ দেন।
অন্যদিকে একই ঘটনায় ৫৪ ধারায় গ্রেফতার হওয়া কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাহমিদ হাসিব খানকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হবে। ঢাকার মহানগর হাকিম গোলাম নবী এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর অাগে গত ১ জুলাই গুলশান হামলার বিভিন্ন ছবি ও তার মোবাইল ফোনের ফরেনসিক রিপোর্ট থেকে গোয়েন্দারা অনেকটা নিশ্চিত হন যে, হাসনাত করিম গুলশান হামলার নাটের গুরু ও মাস্টারমাইন্ড! এমনকি পুরো অপারেশন যেন নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হয় সে জন্য তিনি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে হামলা পরিচালনা ও মনিটরিং করেন। হামলার আপডেট ও বিভিন্ন ছবি আদান প্রদান করেন দেশ ও দেশের বাইরে। গোয়েন্দাদের ধারণা, হাসনাতের মোবাইলের ক্যামেরায় ধারণ করা ছবিই উগ্রবাদীদের মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক মুখপত্র ‘আমাক নিউজ এজেন্সি’ ও ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গুপ্তচর রিটা কার্টৎজের ওয়েব পোর্টাল সাইট ইন্টেলিজেন্সের কাছে পাঠানো হয়। আর তার একাজে সহযোগিতা করেন কানাডা প্রবাসী ছাত্র তাহমিদ খান। এমনকি নিজ হাতে অস্ত্র চালিয়ে তাহমিদও এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞে অংশ নেয় বলে তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার শুরু থেকেই এই দুইজন নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসলেও সম্প্রতি পাওয়া দুটি স্থিরচিত্র ও হাসনাত করিমের মোবাইল ফোনের ফরেনসিক রিপোর্ট থেকে এসব চাঞ্চল্যকর ক্লু বেরিয়ে এসেছে। হামলার পরদিন কাকডাকা ভোরে জঙ্গি রোহান ইমতিয়াজ, তাহমিদ খান ও হাসনাত করিমকে রেস্টুরেন্টের ছাদে ঘনিষ্ঠভাবে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখা যায়। তাদের এই গুরুত্বপূর্ণ সহ-অবস্থানের কয়েকটি ছবি তুলতে সক্ষম হন পার্শ্ববর্তী ভবনের একজন বাসিন্দা। ছবিতে দেখা যায়, জঙ্গি রোহান ইমতিয়াজের গলায় সামরিক কায়দায় ঝোলানো আছে একটি অত্যাধুনিক অস্ত্র। আর তার পাশে ঘনিষ্ঠ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তাহমিদ খান ও হাসনাত করিম। ছবিতে তাহমিদের হাতেও অস্ত্র দেখা যায়। তিনজনই ঘনিষ্ঠ ভঙ্গিতে একেবারে স্বাভাবিকভাবে একে অপরের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ