চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনকে ব্যাখা দেয়ার চিঠি দিয়ে চট্টগ্রামবাসীকে অপমান করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। একই সাথে সাতদিন সময় বেঁধে দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে হেয় করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদী মানববন্ধন ও সমাবেশে এমন অভিযোগ করেছে চট্টগ্রামে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের ব্যানারে সর্বস্তরের জনতা।
সমাবেশ থেকে ঘুষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী অবস্থানের কারণে চট্টগ্রামের মেয়রকে স্থানীয় সরকারের দেয়া পত্রে উষ্মা প্রকাশ করা হয়েছে। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে মন্ত্রণালয়ের পত্রটি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। একই সাথে মেয়রের অবস্থানের প্রতি একাত্মতা জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক রিয়াজ হায়দারের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বরেণ্য রাজনীতিবীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য শেখ মাহমুদ ইসহাক, দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের সম্পাদক সাংবাদিক সৈয়দ উমর ফারুক, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মুজিবুল হক, চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুন, নগর আওয়ামী লীগের সদস্য প্রকৌশলী বিজয় কিষান চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি ড. মাহমুদ হাসান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্য ভাষা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জিনবোধি ভিক্ষু এবং ব্যবসায়ী নেতা জামাল হোসেন প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের চিঠি সৌজন্য বহির্ভূত। আ জ ম নাছির উদ্দীনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই মেয়র পদে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। তাই মন্ত্রণালয়ের চিঠির ভাষা রুঢ় হতে পারে না। এছাড়া স্থানীয় সরকার সচিব সাংবাদিকদের কাছে যে মন্তব্য করেছেন তা শিষ্টাচার পরিপন্থী।
চট্টগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে চট্টগ্রামের নির্বাচিত সকল সাংসদ এবং মন্ত্রীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম যেন বঞ্চিত না হয় সে ব্যাপারে প্রত্যেককে সজাগ হতে হবে। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক হৃদপিণ্ড। তাই চট্টগ্রাম বাঁচলে সারা দেশ বাঁচবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ