দেশের সব সিটি করপোরেশনসহ দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পশুর হাটে এক হাজার মেডিকেল টিম নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কোরবানির পশুর শরীরে ক্ষতিকর উপাদান পরীক্ষায় তারা কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায়।
রবিবার 'কোরবানির পশুর হাটে সুস্থ-সবল গবাদিপশু সরবরাহ ও বিক্রয় নিশ্চিতে' মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান এতে সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায় এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘সকল সিটি করপোরেশনসহ দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে গরুর হাটে এক হাজার ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে বলে সভায় প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিটি টিমে একজন পশু চিকিৎসক ও আরও দুইজন সহকারী থাকবেন।’
মহাপরিচালক আরও বলেন ‘পশু চিকিৎসক দল হাটে একটি বুথে চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে অবস্থান করবেন। পশুর শরীরে ক্ষতিকর উপাদান পরীক্ষাসহ কোন অসুস্থ প্রাণী পেলে তারা সনাক্ত করে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করবেন।’
পশু চিকিৎসকদলের কার্যক্রম তদারকির জন্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মনিটরিং টিম গঠনের বিষয়েও সভায় সিদ্ধান্ত হয়। কোরবানি ঈদের আগে অতি মুনাফার আশায় অনেক অসাধু ব্যবসায়ী ক্ষতিকর স্টেরয়েড ব্যবহার করে গরু মোটাতাজা করে থাকে। এ ধরণের গরুর মাংশ মানুষের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব