এবারের ঈদুল আজহায় বরিশাল নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে পশু জবাইয়ের জন্য ১৪০ স্থান নির্ধারণ করেছে সিটি করপোরেশন। ইতিমধ্যে এই তথ্য জনগণকে জানানোর জন্য সংশ্লিস্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত বছর নগরীর ৬১টি স্থানে কোরবানীর পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করেছিলো সিটি করপোরেশন। তবে প্রচার-প্রচারনা না থাকায় মাত্র ২০ ভাগ পশু নির্ধারিত স্থানে জবাই হয়েছিল।
বিসিসি সূত্র জানায়, পরিবেশ দুষণরোধে নির্দিস্ট স্থানে পশু কোরবানী করার বিষয়ে মন্ত্রনালয় থেকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ৪ সদস্য বিশিষ্ট ৩০টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে পশু জবাইয়ের স্থান নির্বাচনের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়। সে অনুযায়ী ছোট পরিসরের ওয়ার্ডে সর্ব নিম্ন ২টি নির্ধারিত স্থান এবং বড় ওয়ার্ডগুলোতে ১৩টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিবেশ দুষণমুক্ত রাখতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের সৌন্দয্য বর্ধন কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলর গাজী আক্তারুজ্জামান হীরু।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভেটেরেনারী সার্জন ডা. রবিউল ইসলাম জানান, গত বছর প্রথমবারের মতো এই নিয়ম প্রবর্তন করায় মাত্র ২০ ভাগ পশু নির্দিষ্ট স্থানে জবাই হয়েছিলো। তবে এ বছর ৫০ ভাগ পশু জবাই নির্দিষ্ট স্থানে হবে বলে তারা আশা করছেন।
সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল জানান, মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে এবং নগরীর পরিবেশ দুষণমুক্ত রাখতে এ বছর ১৪০টি স্থান পশু জবাইয়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্দিষ্টস্থানে পশু জবাই করা হলে বিসিসির কর্মীরা দ্রুত বর্জ্য অপসারণ করে পরিবেশ সুন্দর এবং দুষণমুক্ত রাখতে পারবে।
বিডি প্রতিদিন/ ১৪ আগস্ট ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন