বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যা জন্মদিন পালন করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ। তিনি বলেছেন, একজন মানুষের ৫টি জন্মদিন হতে পারে না। ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার মিথ্যা জন্মদিন। স্বাধীনতা বিরোধীদের খুশি করতেই তিনি জাতীয় শোক দিবসে ভুয়া জন্মদিন পালন করেন। ছাত্রলীগের একটি নেতাকর্মী থাকা অবস্থায় এবার তাকে মিথ্যা জন্মদিন পালন করতে দেবে না। যেখানেই জন্মদিনের কেক কাটার উৎসব করা হবে, সেখানেই প্রতিহত করা হবে।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে এক মানববন্ধনে মো. সাইফুর রহমান সোহাগ এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
একটি ইংরেজী দৈনিকের বরাত দিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, গত বছর একটি ইংরেজী দৈনিকে খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে খালেদা জিয়ার জন্মদিন ৫টি। এরমধ্যে আগস্ট ৫, ১৯৪৪; আগস্ট ৫, ১৯৪৬; আগস্ট ১৯, ১৯৪৭; সেপ্টেম্বর ৫, ১৯৪৬ এবং আগস্টের ১৫ তারিখ। ১৫ আগস্ট খালেদার আসল জন্মদিন নয়। সাবেক বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাও কয়েকদিন আগে বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে জোট করার পর তাদের খুশি করতেই খালেদা জিয়া জাতীয় শোক দিবসে কেক কেটে মিথ্যা জন্মদিন পালন করেন। এবার ছাত্রলীগ এই জন্মদিন পালন করা প্রতিহত করবেই। যেখানেই জন্মদিনের আয়োজন করা হবে, সেখানেই প্রতিহত করা হবে। তিনি বলেন, জন্মদিন পালন করার অর্থ স্বাধীনতা বিরোধীদের খুশি করা। আর এই আয়োজনের সঙ্গে যারা যুক্ত তারাও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। যে প্রতিষ্ঠান কেক তৈরি করবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুসিয়ারি দেন ছাত্রলীগ সভাপতি।
বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়ে সাইফুর রহমান সোহাগ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মূল পরিকল্পনায় ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করেছেন, রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার যেন না হয় সেজন্য প্রথমে ইনডিমিনিটি অধ্যাদেশ পরে আইন করেছেন। আল্লাহের রহমতে ২১ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সে আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করেছেন। এখন কয়েকজন খুনি বিদেশে পলাতক রয়েছেন। দ্রুত এদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে হবে। শুধু তাই নয়, এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারাই জড়িত তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তোফাজ্জল হক চয়ন, আরিফুর রহমান লিমন, কাজী এনায়েত, সৈয়দ আশিক, কাজী মাহবুব, রেজাউল করিম রেজা, চন্দ্র শেখর মণ্ডল, শেখ জসিম উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন শাহাজাদা প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের নেতৃত্বে জাতির পিতার পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকের নিকট স্মারকলিপি তুলে দেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৪ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ