জামায়াতের ডাকা হরতালে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। সবখানে স্বাভাবিক কর্মদিবসের মতোই ছিল। সরকারি-বেসরকারি চাকুরিজীবীরা যথাসময়ে কাজে যোগদান করেছেন।
বুধবার হরতাল শুরুর পর থেকে নগরী কিংবা জেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। হরতালের সমর্থনে জামায়াত-শিবিরের মিছিল-সমাবেশ, পিকেটিংও দেখা যায়নি। তবে হরতালের কারণে নগরীর বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অঘোষিতভাবে বন্ধ ছিলো। বিশেষ করে প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই ছিল বন্ধ।
সরজমিন দেখা গেছে, গণপরিবহন, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ সব ধরনের যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করেছে। হরতালে সকালের দিকে যান চলাচল কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরীর সড়কগুলোতে যান চলাচল বাড়ে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলেছে কম। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে সবকটি ট্রেন যথাসময়ে চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে গেছে। তবে দূরপাল্লার যানবাহন ছিলো কম।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকেও পণ্যবোঝাই ট্রাক, টেইলর, কনটেইনার মুভার বের হতে দেখা গেছে। নগরীতে স্বাভাবিকভাবেই গণপরিবহন চলাচল করেছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই হরতালের কারণে বন্ধ ছিলো।
নগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। হরতালে জামায়াতের নেতাকর্মীরা নগরী কিংবা জেলার কোথাও মিছিল-সমাবেশ করেনি। সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় নগরী ও জেলায় অতিরিক্ত দেড় হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ৩১ আগস্ট ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন