নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় বুধবার রাতে ফুটপাত থেকে এক হকার উচ্ছেদের কারণ জানতে চাইলে একটি পত্রিকার সম্পাদককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা পুলিশের এস আইকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। লাঞ্ছনার ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ গণমাধ্যম কর্মীরা সড়কে বিক্ষোভ দেখালে প্রায় আধাঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সোয়া ১০টায় শহরের চাষাঢ়ায় খাজা সুপার মার্কেটের নিচে ফুটপাতে থাকা একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন দৈনিক ভোরের কথা সম্পাদক আরিফুর রহমান। ওই মার্কেটের তৃতীয় তলাতেই পত্রিকাটির অফিস। চা পানের সময়ে পুলিশের একটি গাড়িতে চড়ে সদর মডেল থানার এস আই আবুল বাশার এসে চায়ের দোকান দ্রুত বন্ধ করতে বলেন। ওই সময়ে আরিফুর রহমান চা পান শেষ করে রাতে কেন হকার উচ্ছেদ করা হচ্ছে জানতে চান। তখন গাড়ি থেকে নেমে এসে এস আই আবুল বাশার নিজেই আরিফুর রহমানকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেন ও গালাগাল করেন। তখন আশেপাশের লোকজন আরিফুরকে সম্পাদক পরিচয় দেওয়ার পর আরও চড়াওয়ের চেষ্টা করেন বাশার। এসময় লোকজন বাড়তে থাকলে বাশার চলে যায়।
বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমকর্মীরা এসে চাষাঢ়ায় ঘটনার জন্য বাশারকে দায়ী করে তার শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তখন চাষাঢ়া এলাকাতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সদর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য শোনেন।
ওসি আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে এস আই বাশারকে ক্লোজড করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আরও তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসির বক্তব্যের পর রাত ১১টায় বিক্ষুব্ধরা শান্ত হন। ওই সময়ে তারা বাশারের বরখাস্তের দাবিতে স্লোগান ও মিছিল করেন।
ভোরের কথা সম্পাদক আরিফুর রহমান জানান, সাংবাদিক হিসেবে আমি পুলিশের কাছে হকার উচ্ছেদের বিষয়টি জানতে চাই কিন্তু আমার পরিচয় না জেনেই লাঞ্ছনা করে ও অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে।
এস আই আবুল বাশারের মোবাইল নাম্বার ঘটনার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/মাহবুব