সাভারে আছমা আফরিন মিতু (২৮) নামের এক স্কুল শিক্ষিকাকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে ঘাতক স্বামী। নিহত মিতু ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এ্যান্ড কলেজে বাংলা বিভাগে শিক্ষক ছিলেন।
সোমবার রাতে সাভার পৌর এলাকার আনন্দপুরের সিটিলেন মহল্লায় আলতাফ হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘাতক স্বামী মুরাদকে আটক করে।
নিহত শিক্ষিকার বাবা আলতাফ আলী বলেন, তার মেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। এরই সুবাধে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর শিক্ষার্থী মুরাদের সাথে তার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে গত এক বছর আগে তারা বিয়ে করে ঢাকায় একটি ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস শুরু করে। পরে আছমা ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এ্যান্ড কলেজে বাংলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে চাকরি পায়। গত এক সপ্তাহ আগে তারা দু'জনেই আমার বাড়ি আনন্দপুর এলাকায় বেড়াতে আসে। সোমবার রাতে মুরাদ মিতুকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে। এসময় স্থানীয়রা কক্ষের ভেতরে স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘাতক স্বামী মুরাদকে আটক করে ও নিহতের লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহাবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৪ অক্টোবর, ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন