বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা বাজারে ডাকাতির ঘটনায় নিস্ক্রিয়তার অভিযোগে সংলগ্ন হারতা আরআরএফ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মোজাফফরকে সাময়িক বরখাস্ত এবং ওই ক্যাম্পের সকল সদস্যকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, ডাকাতির পর পালিয়ে যাওয়ার পথে পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর নদীতে যাত্রীবাহী একটি সন্দেহভাজন স্পীডবোট লক্ষ্য করে গুলি করে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। এমনকি কেউ হতাহত হয়েছে কিনা, তাও নিশ্চিত করতে পারেননি উজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, হারতা বাজারে ডাকাতির পর সংলগ্ন সব থানায় বার্তা পাঠানো হয়। সে অনুযায়ী আশপাশের সব থানা পুলিশ সতর্ক ছিল। দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগরপুর নদীতে সন্দেহভাজন একটি স্পীডবোট যেতে দেখে থামার সিগন্যাল দেয়া হয়। কিন্তু সিগন্যাল অমান্য করে চালিয়ে যাওয়ার সময় স্পীডবোট লক্ষ্য করে গুলি করে পুলিশ। এতে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি তিনি।
এর আগে, সন্ধ্যায় দুটি স্পীডবোটযোগে ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত উজিরপুররের সন্ধ্যা নদীর শাখা কঁচা নদী হয়ে হারতা বাজারে উঠে গুলি করে বোমার বিস্ফারণ ঘটিয়ে এবং লোকজনকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এ সময় তারা ১৬টি মাছের আড়ত থেকে প্রায় কোটি টাকা লুট করে আবার স্পীডবোট যোগে পালিয়ে যায়। গুলি বোমার শব্দে আতঙ্কে বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সোহরাব বেপারীর মৃত্যু এবং দুর্বৃত্তদের পিটুনিতে ও দিগ্বিদিক দৌড়াদৌড়িতে অন্তত ২০ জন আহত হন।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ নভেম্বর, ২০১৬/মাহবুব