রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় আটক ২৮ নারী সরকারকে অবৈধ উপায়ে বিব্রত করতেই জড়ো হয়েছিল। ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার এ দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, রাজধানীতে আটক হওয়া জামায়াতে ইসলামীর ২৮ নারী সমবেত হওয়ার উদ্দেশ্য ছিল নাশকতা ও সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করা।
আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজন যুদ্ধপরাধের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পরিবারের সদস্য রয়েছে বলেও জানান তিনি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
বিপ্লব কুমার বলেন, আমরা তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি তারা ধর্মের ও তাবলিগের কথা বলে ধর্মের আড়ালে নাশকতা ছড়ানোর পরিকল্পনায় ছিল। আমাদের কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিল মোহাম্মদপুর এলাকায় এ ধরনের বৈঠক মাঝে মাঝে হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার আমরা বাসাটি নিশ্চিত হওয়ার পর সেখানে অভিযান চালাই। অনেকক্ষণ চেষ্টা করলেও তারা প্রথমে দরজা খুলতে চায়নি। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে তারা দরজা খুলে দেয়। পরবর্তীতে তাদের ২৮ জনকে আটক করে মোহাম্মদপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।
তিনি আরও বলেন, আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজন যুদ্ধপরাধের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পরিবারের সদস্য রয়েছে। এদের মধ্যে রোকন পর্যায়ের নেত্রীও রয়েছে। তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বই, লিফলেটসহ বিভিন্ন কাগজপত্র পাওয়া গেছে। তারা শুধুমাত্র ঢাকা নয়, বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছে বলে জানা গেছে। তারা অনেকেই শিক্ষিত। কেউ কেউ কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। তবে অনেকেই নিজেদের প্রকৃত পরিচয় দিচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা