রাজশাহীতে সিআইডির এক এসআইকে তার দুই সহযোগিসহ আটক করেছে পুলিশ। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য মূর্তি উদ্ধার করতে গিয়ে স্থানীয়দের জনরোষে পড়েন তারা। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় রিশিকুল ইউনিয়নের মান্ডইল গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে ।
আটককৃতরা হলেন, সিআইডির রাজশাহী জোনের এসআই এমএস মাহাবুব আলী (৩২), তার সঙ্গে থাকা তিনজন ভুয়া সিআইডি সদস্যরা হলেন, নগরীরর কাদিরগঞ্জ এলাকার শহিদুল ইসলাম (৪৮), বালিয়াপুকুর এলাকার আমিরুল (৫৫) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের আতিকুর রহমান (২৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৮ টায় মান্ডইল আস্তা পুকুর গ্রামের জুয়েল হাসদার বাড়িতে সিআইডি পরিচয়ে এম এস মাহাবুব আলী ও তার সঙ্গীরা প্রবেশ করে। তার বাড়িতে মূর্তি আছে বলে বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে। জুয়েল হাসদা সে সময় বাড়িতে না থাকায় সিআইডি সদস্য এমএস মাহাবুব আলীর নির্দেশে জুয়েল হাসদার মামা শ্বশুর সরকার কিস্কু ও তার ছোট ছেলে রুবেল হাসদাকে বেঁধে রেখে বাড়িতে কোদাল দিয়ে ঘরের ভেতর খোঁড়াখুড়ি করে।
আশেপাশের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে তাদের আসল পরিচয় জানতে চাইলে তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হয়। এরপর গ্রামবাসী মসজিদের মাইকে সবাইকে ডাক দেয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে টুলুকেও জানায়। পরে গ্রামবাসী কাঁকনহাট পুলিশ ফাঁড়িকে খবর দিয়ে তাদের ঘিরে রাখে।
এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে আটককৃতদের মারধর করে এবং তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ও মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে। কাঁকনহাট পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক দেওয়ান মো. এনামুল হক ও তার সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে সিআইডি সদস্য এম এস মাহাবুব আলী ও ভূয়া পরিচয়দানকারী অপর ৩ জনকে আটক করে গোদাগাড়ী মডেল থানায় হস্তান্তর করে।
গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি বলেন, আটককৃত মাহবুব সিআইডি সদস্য বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-২২