নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকায় অবস্থিত ইব্রাহিমা দারুছসালাম আবাসিক মহিলা মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সুপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ৪ মার্চ বিকেলে ঘটনাটি ঘটলেও সোমবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীটির মা।
অভিযুক্ত মাদরাসা সুপার হলেন সোনারগাঁয়ের নানাখী এলাকার মোঃ হাফেজ মাওলানা ইবরাহীমের ছেলে নোমান ইবরাহীম।
মামলার এজাহারে ওই ছাত্রীটির মা উল্লেখ করেন, ৪ মাস পূর্বে তার মেয়েকে ওই আবাসিক মাদ্রাসাটিতে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি করান। এর কিছুদিন পর থেকেই মাদরাসাটির সুপার তার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিত। কিন্তু আমার মেয়ে লোকলজ্জার ভয়ে কিছু বলেনি। গত ৪ মার্চ বিকেলে আমার মেয়েসহ অন্য ছাত্রীরা যে যার রুমে বিশ্রাম নিচ্ছিল। এসময় দরজা খোলা পেয়ে সুপার নোমান তার কক্ষে গিয়ে তাকে প্রথমে প্রেমের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু আমার মেয়ে রাজী না হলে সে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তখন আমার মেয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে তার এক বান্ধবীর বাসায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে মাদরাসার পক্ষ থেকে মোবাইলে আমাদের জানানো হয় আমার মেয়ে নিখোঁজ রয়েছে। তাকে মাদরাসার আবাসিকে পাওয়া যাচ্ছেনা। ওইদিন রাত ৭টার দিকে আমি ও আমার দুই বোনসহ মাদরাসায় গিয়ে সুপারকে আমার মেয়ের কথা জিজ্ঞেস করলে সে আমাদের উল্টো গালাগাল করে। পরে তার ইন্ধনে অজ্ঞাত ২/৩ জন মহিলা ও অজ্ঞাত ২ জন পুরুষ আমাদেরকে চরথাপ্পড় মারে ও চুল ধরে টানাটানি করে। এসময় তারা আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকী দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে আমরা আমার মেয়েকে তার ওই বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে সন্ধান পাই।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ সরাফত উল্লাহ জানান, ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।