চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট পাঁচলাইশ কার্যালয়ে গত একবছরে ৯৮ হাজার ৯৫৪টি পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে। তবে এই সময়ের মধ্যে আবেদন করা হয়েছে ১ লাখ ৮৩৪টি। এসব আবেদন থেকে রাজস্ব আদায় হয় ৩৯ কোটি ৭৯ হাজার ৮৯ টাকা। ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে ৭ কোটি ৪৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৪ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয় বলে জানা যায়।
পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন জমা হয় ১ লাখ ৮৩৪টি। এর মধ্যে অফিসিয়াল ৩৪৭টি, সাধারণ ৯৮ হাজার ৬০৭টি, জরুরি ১৪ হাজার ৯৫০টি, সাধারণ ৮৩ হাজার ৬৫৭টি। তবে পুলিশ প্রতিবেদনের বিপক্ষে যাওয়া, তথ্যগত ভুল ও ব্যাংকে ভুল নামে টাকা জমা দেয়াসহ নানা কারণে ১ হাজার ৮৮০টি আবেদন বাতিল করা হয়েছে। ২০১৬ সালে পাসপোর্ট অফিস থেকে ৫৬ হাজার ৮৭২টি আবেদন পুলিশ প্রতিবেদনের জন্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৫৬ হাজার ৬২৫টির প্রতিবেদন পাওয়া যায়। তাছাড়া ৭৯১টি আবেদনের প্রতিবেদন বিপক্ষে এবং ২৪৭টির কোনো প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি।
পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক শাহ মুহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ইস্যুর কারণে অতীতের চেয়ে অনেক কম সময়ে পাসপোর্ট সরবরাহ করা হয়। তাছাড়া বর্তমানে পাসপোর্ট ইস্যুর সকল প্রক্রিয়া ডিজিটাল এবং ডাটাবেজ নির্ভর। আবেদনকারী নিজেও মোবাইলে মেসেজ দিয়ে পাসপোর্ট ইস্যুর সর্বশেষ তথ্য জানাতে পারছেন। মেসেজের মাধ্যমে আবেদনকারীরা ফিরতি বার্তা পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে পৃথক তিনটি অফিসের উপর নির্ভরশীল। ফি জমা দিতে ব্যাংক, পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও পাসপোর্ট সরবরাহের জন্য ডাক বিভাগ। এ অফিসগুলোর কোনো একটির সেবা প্রদানে বিলম্ব হলে পাসপোর্ট প্রদান প্রক্রিয়ায় বিলম্ব ঘটে।
জানা যায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ ছিল। পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নিজ নিজ কক্ষ এবং অস্থায়ী হেল্প ডেস্কে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে চলছে গণশুনানিও। সেবা সপ্তাহে পুরো এক সপ্তাহজুড়ে ৭ হাজার ৮৫৩টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫৩৮টি পাসপোর্ট আবেদনকারীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। পাসপোর্ট করতে আসা পশ্চিম পটিয়ার মামুন ও চট্টগ্রাম মেডিক্যালের স্টাফ জাকির হোসেন বলেন, অতীতের তুলনায় বর্তমানে পাসপোর্ট তৈরি করা অনেক সহজ হয়েছে। তাছাড়া পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষও আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সব সময় যদি এ রকম সেবা দেওয়া হয় তাহলে সরকারি অফিস সম্পর্কে মানুষের ধারণার পরিবর্তন হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার