চট্টগ্রাম নগরীর সেই 'আলোচিত ও বির্তকিত' ওসির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের এক কোচিং ব্যবসায়ী চাদাঁবাজির মামলা দায়ের করেছে আদালতে। অভিযুক্ত আলোচিত সেই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন নগরীর চকবাজার থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজ আহমেদ। তিনি চকবাজার এলাকার যুবলীগ নেতা টিনু ও যুবদল নেতা টিনুর ভাই শিপুর ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরেই অপকর্ম করে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। উক্ত ওসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় জামায়াত কানেকশানসহ উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে চট্টগ্রাম কলেজ ও চট্টগ্রাম মহসিন কলেজসহ এলাকা ছিল আতঙ্কের মধ্যে। এসময় নগর ছাত্রলীগও ওসির বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন ও সামাজিক যোগাযোগেও তৎপর ছিল ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল নেতারা। তবে ওসি আজিজ বদলী হওয়ায় কিছুদিন পর যুবদল নেতা শিপু চাদাঁবাজির সময় পুলিশের হাতেই গ্রেফতার হন।
গত সোমবার কোচিং ব্যবসায়ী রাশেদ মিয়া বাদি হয়ে চট্টগ্রামের পঞ্চম মহানগর হাকিম আদালতে মামলার আরজি দাখিল করেন এবং আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বাদির আইনজীবী অ্যাড. খায়রুল ইসলাম। মামলায় অপর অভিযুক্ত হলেন ওসি আজিজের বন্ধু মনছুর আজাদ। আজিজ আহমেদ বর্তমানে নগর পুলিশের বিশেষ শাখায় পরির্দশক পদে কর্মরত আছেন। এছাড়া মামলার বাদি রাশেদ মিয়া নগরীর জিইসি মোড়ের এমসিএইচ ও ইউনি এইড নামে দু'টি কোচিং সেন্টারের মালিক হিসেবে মামলায় উল্লেখ করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার আরজিতে রাশেদ মিয়া অভিযোগ করেছেন, ২০১৬ সালের মাঝামাঝিতে ওসি আজিজ তার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তার কাছে ৭০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। রাশেদ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আজিজ ও তার বন্ধু আজাদ মিলে তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে যান। এরপর ১৬ অক্টোবর আজিজ ও আজাদ মিলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ১১টি খালি চেকে স্বাক্ষর করতে রাশেদকে বাধ্য করেন। গত ২০ অক্টোবর মিথ্যা তথ্য দিয়ে পাঁচলাইশ থানা পুলিশকে বাসায় পাঠিয়ে ওসি আজিজ রাশেদকে হয়রানি করেন। মামলার আরজিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৮০, ৩৮৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেছিলেন রাশেদ মিয়া।
বিডি-প্রতিদিন/২১ মার্চ, ২০১৭/মাহবুব