বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপি’র তৃনমূল কর্মীসভায় দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল হট্টগোল, চেয়ার ছোড়াছুড়ি এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। চলমান সভার মধ্যে এমন ঘটনায় বিব্রত হয়েছেন বিএনপি’র কেন্দ্রিয় ও স্থানীয় নেতারা।
নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলে শনিবার সকাল ১০টায় নির্ধারিত সময় থাকলেও উত্তর জেলা বিএনপি’র তৃনমূল কর্মীসভা শুরু হয় সকাল সোয়া ১১টার দিকে। তখনও প্রধান অতিথি বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সভাস্থলে এসে পৌঁছাননি। দলের ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান ও জয়নাল আবেদীন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে দলের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য দিচ্ছিলেন উত্তর জেলার আওতাধীন মুলাদী পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ২০০৮ সালে সেলিমা রহমানের পরামর্শে গঠিত উত্তর জেলা যুবদল নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। তারা দলের কোন কার্যক্রমে অংশগ্রহন করেছ না। একইভাবে মুলাদী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ছত্তার খানসহ কমিটির অধিকাংশ নেতা নিস্ক্রিয়। তারা দলে গ্রুপিং করছে।
তিনি সেলিমা রহমান অনুসারীদের কমিটি বাতিল করে দলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীনের অনুসারীদের নিয়ে উত্তর জেলা যুবদলের এবং মুলাদী উপজেলা বিএনপি’র নতুন কমিটি করার দাবি তোলেন। এ সময় উত্তর জেলা বিএনপি’র সভাপতি মেজবাউদ্দিন ফরহাদ তাকে সংযত হয়ে বক্তব্য দিতে বলেন। মঞ্চে থাকা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ আহম্মেদ বাবলু তার তাছ থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিলে হট্টগোল শুরু হয়।
এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা হাতাহাতি এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেন। এতে সভার কার্যক্রম কিছু সময়ের জন্য বিঘ্নিত হয়। পরে স্থানীয় সিনিয়র নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
একই সময়ে অশ্বিনী কুমার হলের বাইরে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হাতাহাতি এবং ধাক্কাধাক্কি হয়।
বেলা ১২টার দিকে প্রধান অতিথি মির্জা আব্বাস সভাস্থলে পৌঁছলে ফের সভার কার্যক্রম শুরু হয়। সোয়া ১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উত্তর জেলা বিএনপি’র সভাপতি মেজবাউদ্দিন ফরহাদের সভাপতিত্বে সভার কার্যক্রম চলছিলো।
বিডি প্রতিদিন/৬ মে ২০১৭/হিমেল