প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মো. মোস্তাফিজুর রহমান (এমপি) বলেছেন, দেশের ৬৫ হাজার স্কুলে যদি একজন করে শিক্ষক নেতৃত্ব দেয় তাহলে শিক্ষার পরিবেশ পরিবর্তন করা সম্ভব। তিনি সকহারী শিক্ষক নাকি প্রধান শিক্ষক সেটি বড় কথা নয়। একজন শিক্ষক আন্তরিক হলেই একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার মানোন্নয়ন করা সম্ভব। সকল শিক্ষক আন্তরিকভাবে কাজ করলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সেক্টর সফল হবে। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে শিশুদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পাড়লে ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
বুধবার দুপুরে বরিশাল নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রিয় কাউন্সিলে নির্বাচিত আতিক-কাশেম-শাহিন পরিষদের বরিশাল বিভাগের নেতৃবৃন্দের পরিচিতি সভা ও বিভাগীয় শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সংগঠনের বরিশাল বিভাগীয় কমিটির সমন্বয়ক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন মানিকের সভাপতিত্বে পরিচিতি সভা ও সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস এমপি, বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এসএম ফারুক, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উপদেষ্টা মো. আবুল বাশার এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আতিকুর রহমান। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের স্থানীয় ও কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে শিক্ষক বক্তারা, সহকারী ও প্রধান শিক্ষকদের শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতিসহ সহকারী শিক্ষকদের ১১ এবং প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি জানান।
এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মচারীদের (এমএলএসএস, ঝাড়ুদার ও নৈশপ্রহরী) চাকুরী রাজস্বখাতে অন্তর্ভূক্ত করার দাবিতে আজ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি দেয় দৈনিক মজুরী ভিত্তিক ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ। এ সময় সমিতির সভাপতি মো. আলী হাসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/১০ মে ২০১৭/হিমেল