ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাব এবং ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের কারণে চট্টগ্রাম মহানগরীর নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। আজ বিকেল থেকেই বৃষ্টি লেগেই আছে। টানা বৃষ্টিতে পথচারী, যানবাহন চালক ও যাত্রী, কর্মস্থল ও বাসামুখী লোকজন এবং বিভিন্ন বাসাবাড়ির নিচতলা ও দোকানিদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাছাড়া ষোলশহর দুই নম্বর গেট, এসপি অফিসের সামনে, প্রবর্তক মোড়, কমার্স কলেজ এলাকা, মুরাদপুর, সুন্নিয়া মাদ্রাসা, এক্সেস রোড, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, ছোটপুল, মুহুরী পাড়া, শান্তিবাগ আবাসিকসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কের ওপর হাঁটু পানি জমে গেছে।
আগ্রাবাদের এক বাসিন্দা জানান, আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ, এক্সেস রোড, ছোটপুল, শান্তিবাগ, রঙ্গিপাড়া, মুহুরী পাড়া, হালিশহর এল ব্লক, কে ব্লকসহ বেশ কিছু এলাকায় বিকেলেও পানি ছিল। মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা খালেদা বেগম ও জাহেদ আহমেদ বলেন, দুপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও পানি উঠেনি। বেলা ৩টার পর বৃষ্টি হলে এলাকায় হাটুর উপর পানি উঠে যায়। তবে টানা বৃষ্টি হলে আরো বেশি পানি উঠবে বলে জানান তারা।
চসিকের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, স্বাভাবিকভাবে কয়েকটি জায়গায় পানি দ্রুত নামতে না পারায় আধঘণ্টা-এক ঘণ্টার জন্য জলজট ছিল দুই নম্বর গেট এলাকায়। এরপর পানি নেমে যায়। চসিক পানি যাতে আটকে না থাকে সে জন্য দ্রুত পরিচ্ছন্নকর্মীদের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিয়েছিল। তবে দ্রুত পানি সরে যাওয়ার জন্য চসিক মেয়রের নির্দেশে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সকাল ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড হয়েছে ৬৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টা থেকে জোয়ার শুরু হয় কর্ণফুলী নদীতে। বিকেল চারটা ৪৭ মিনিটে দিনের সর্বোচ্চ জোয়ার (হাইটাইড) ছিল। সন্ধ্যার পর আবারও বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার