অর্থমন্ত্রীর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে তাৎক্ষণিক পৃথক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স।
চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাজেট উন্নয়ন সহায়ক। গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম মহানগরের যানজট নিরসন, চট্টগ্রাম-ঢাকা ও বৃহত্তর চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, বাজেট সাহসী এবং বাজেটে উন্নয়ন প্রস্তাবনা দেখে আমরা মনে করছি এটি গণমুখি। দেশের জনগণের মঙ্গলের জন্যই প্রণীত হয়েছে।
এদিকে, ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশের নিচে সহনীয় পর্যায়ে আনার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা।
চিটাগাং চেম্বার সভাপতি বলেন, ‘ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি এবং অবচয়ন বিবেচনাপূর্বক এ সীমা বৃদ্ধি করা উচিত। একইভাবে নারী এবং ৬৫ উর্ধ্ব করদাতাদের ক্ষেত্রেও করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করা উচিত। তাছাড়া ব্যবসায়ীদের দাবির পরও ১৫ শতাংশ ভ্যাট অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আমরা আবারও এ হার পুনর্বিবেচনা করে ১০ থেকে ১২ করার দাবি জানাই।’
মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি সংস্থা কর্তৃক এডিবি বাস্তবায়ন হার শত ভাগ সম্পন্ন করার পদক্ষেপ নেওয়া। এক্ষেত্রে এডিবি শতভাগ বাস্তবায়ন হলে, দেশে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বন্দর উন্নয়ন হলে প্রচুর বৈদেশিক বিনিয়োগ, শিল্পায়ণ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। এতে বাংলাদেশের জিডিপি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।’