কুমিল্লার মুরাদনগরে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের লাঠিপেটায় আহত শ্রমিকলীগ হেলাল মিয়া মারা গেছেন। রবিবার বিকেলে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত শ্রমিকলীগ নেতা হেলাল মিয়া উপজেলার সদর ইউপির উত্তর পাড়ার হোসেন মিয়ার ছেলে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ জুন সকালে মুরাদনগর উপজেলার উত্তরপাড়ায় স্থানীয় কয়েকজন যুবকের মাঝে নারী সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় শ্রমিকলীগ নেতা হেলাল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয়ের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করলে এক পর্যায়ে উত্তেজিত যুবকেরা উল্টো হেলালকেই বেধড়ক লাঠিপেটা করে। লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই হেলাল জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। খবর পেয়ে উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মহসিন হায়দার স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। জ্ঞান ফেরার পর হেলাল বমি করায় স্থানীয় ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লায় প্রেরণ করে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিছুদিন চিকিৎসা নেয়ার পর হেলালের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে রবিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত হেলাল মিয়ার মা আয়শা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে ঝগড়া মেটাতে গিয়ে জীবন দিয়েছে। আমি থানায় যাচ্ছি মামলা করার জন্য। আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
মুরাদনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, হেলাল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক তদন্ত শেষে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। পরিবারের ভাষ্যমতে ও প্রাথমিক তদন্তে জানলাম মারপিটের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হেলাল মারা গেছে। বিষয়টি আরো গভীরভাবে খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/০৯ জুলাই, ২০১৭/মাহবুব