চট্টগ্রাম নগরীর ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের মালিকদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীন। একই সঙ্গে সংস্থাগুলো নিজ নিজ উদ্যোগে অবৈধভাবে বসবাসরতদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ দুপুরে বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ১৭তম সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন।
বিভাগীয় কমিশনার মো. রহুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরীসহ বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরতদের উচ্ছেদ করবে পাহাড়ের মালীকানাধীন সংস্থাই। প্রয়োজনে তারা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে পারে। কিন্তু মূল কাজটা তাদেরকেই করতে হবে। তাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরতদের সরিয়ে দেওয়ার অংশ হিসেবে সেখানে গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পিডিবি, ওয়াসা ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে নির্দেশ দেন।
সভায় সীতাকুণ্ডের জঙ্গল ছলিমপুরের দুর্গম এলাকায় সরকারি পাহাড় দখল করে ঘরবাড়ি তৈরি করে বিশাল সাম্রজ্য গড়ে তোলার কথা উপস্থাপন করেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ সময় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক বিষয়টি এতদিন নজরে না আনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘আমি চট্টগ্রাম জেলায় যোগ দিয়েছি দুই মাস হয়ে গেল। এতদিন কেন আমাকে জানানো হল না। জানালে আমি তা বন্ধের উদ্যোগ নিতাম। সরকারকে জানাতাম। এতদিন পর কেন বিষয়টি বলা হলো। অথচ আমরা অন্যান্য সংস্থার অধীনে থাকা পাহাড়গুলোর বিরুদ্ধে উচ্ছেদের কথা বার বার বলে আসছি। আমরা নিজেরাই তো উচ্ছেদ করতে পারিনি।’ এ সময় জেলা প্রশাসক এই পাহাড়ের দখলদারদের নামের তালিকা তৈরি করে একটি প্রতিবেদন দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার