সংবিধানের সংশোধনী আনতে দশম সংসদে উত্থাপিত পৃথক তিনটি বিলসহ মোট ৬টি বেসরকারি বিল গ্রহণ করেনি জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটি। চলমান সংসদের সাড়ে তিন বছরে মোট ৮টি বেসরকারি বিল জমা হয়। এরমধ্যে ছয়টি বিলই নাকচ হয়ে যায়। বাকি দুটি বিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
আজ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘বেসরকারি সদস্যদের বিল এবং বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব সম্পর্কিত কমিটি’র প্রথম প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। কমিটির সভাপতি জিল্লুল হাকিম সংসদে প্রতিবেদনটি উত্থাপন করেন।
সংসদে উত্থাপিত বেসরকারি সদস্যদের বিলগুলোর মধ্যে রয়েছে- স্বতন্ত্র এমপি রুস্তম আলী ফরাজীর সংবিধান (ষোড়শ সংশোধন) বিল ২০১৪, সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) বিল ২০১৪, সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) বিল ২০১৪, বাংলা ভাষা প্রচলন (সংশোধন) বিল ২০১৫, বিধি ও প্রবিধান প্রণয়ন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ বিল ২০১৫, জেলা জজ আদালত মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ (এখতিয়ার) বিল ২০১৫ এবং ইসরাফিল আলম উত্থাপিত বিদেশি নিবন্ধন বিল ২০১৫ ও অসংগঠিত শ্রমিক কল্যাণ ও সামাজিক নিরাপত্তা (অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত) বিল ২০১৫। বিলগুলোর মধ্যে জেলা জজ আদালত মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ (এখতিয়ার) বিল ২০১৫ এবং অসংগঠিত শ্রমিক কল্যাণ ও সামাজিক নিরাপত্তা (অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত) বিল ২০১৫ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাকি বিলগুলো নাকচ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মন্ত্রী ছাড়া কোনো সাধারণ সংসদ সদস্য কোনো বিল উত্থাপন করলে সেটিকে বেসরকারি বিল বলা হয়। কোনো এমপি বিল উত্থাপন করলে তা ‘বেসরকারি সদস্যদের বিল এবং বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব সম্পর্কিত কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটি বিল আলোচনা-পর্যালোচনা করে সংসদে পেশ করা না-করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন