চট্টগ্রামে স্বামী ইকবাল হোসেনকে হত্যার দায়ে নয় বছর পর স্ত্রী সুফিয়া আক্তার (২৫) ও তার ভাই মো. মিজানকে (৩৭) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূর। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সোমবার দুপুরে আদালত এ রায় দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। দ-িত দুই আসামি এখন পলাতক।’
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর রাতের কোনো এক সময় ইকবালকে তার স্ত্রী সুফিয়া আক্তার ও স্ত্রীর ভাই মিজান হত্যা করেন বলে অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ইকবালের ভাই একরাম হোসেন ভূঁঞা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইকবালের উপার্জিত আট থেকে ১০ লাখ টাকা স্ত্রী সুফিয়া আক্তার ও শ্যালক মিজানের কাছে গচ্ছিত ছিল। গ্রামের বাড়িতে ঘর নির্মাণের জন্য ওই টাকা চাইলে ইকবালের সঙ্গে তার স্ত্রী ও শ্যালকের বিরোধ হয়। বিরোধের জেরেই ঘটনার রাতে বন্দর থানা এলাকার ভাড়া বাসায় ইকবালকে হত্যা করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, পরদিন সকালে একটি মাইক্রোবাসে করে আসামিরা লাশ নিয়ে চৌদ্দগ্রামের ধোপাখালিতে গ্রামের বাড়ির সামনের রাস্তায় ফেলে দিয়ে আসে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম ও গলায় দাগ ছিল।
পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। মামলায় দুই আসামির বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়ে গতকাল আদালত এ রায় দেন।
হত্যাকাণ্ডের শিকার ইকবাল হোসেন ভূঁঞা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার ধোপাখালি গ্রামের মৃত ইউসুফ ভূঁঞার ছেলে। পেশায় গাড়িচালক ইকবাল স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বন্দর থানার চান্দের পাড়া এলাকার কুতুবের বাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
বিডি প্রতিদিন/ ৭ আগস্ট, ২০১৭/ ই জাহান