চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স ‘না বাড়ানো’সহ জনসম্পৃক্ত ৬টি বিষয়ে পৃথক দপ্তরে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। গত সোমবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর চশমা হিলে নগর কমিটির সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় নগর আওয়ামী লীগের এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তবে এ সভায় নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন না। সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর কমিটির সহ-সভাপতি সুনীল সরকার, খোরশেদ আলম সুজন ও জহিরুল আলম দোভাষ, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান ও নোমান আল মাহমুদ, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের ও আবু তাহের ও উপ-দপ্তর সম্পাদক জহর লাল হাজারী।
ছয়টি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়ানো, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সংকট, বেহাল সড়ক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে যথাক্রমে চসিক, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ( কেজিডিসিএল), পিডিবি, ওয়াসা, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এবং নগর পুলিশের কমিশনারকেও চিঠি দেয়া হবে।
সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর সিদ্ধান্তে শহর উত্তপ্ত। মহল্লায় মহল্লায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আগের ধার্য হোল্ডিং ট্যাক্স বহাল রাখতে এবং ভাঙা সড়ক দ্রুত মেরামত করতে চিঠি দিয়ে মেয়রকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বুধবারের মধ্যে মেয়রে কাছে চিঠি পৌঁছে যাবে বলে জানান তিনি।
সভায় মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা এই সমাজেই বাস করি। সমাজের মানুষের বাইরে আমরা নই। রাজনীতি করি বলেই আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না। যেহেতু মেয়র দলের, তাই রিভিউ করতে অনুরোধ করতে পারি। এতে জনগণও দলের অবস্থান জানতে পারবে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে- বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প দ্রুত শেষ করতে এবং সড়ক সংস্কার দ্রুত শেষ করতে সিডিএকে, অপর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহের কারণে আবাসিক গ্রাহকদের ভোগান্তি ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যঘাতের বিষয় উল্লেখ করে কেজিডিসিএলকে, পানির অপ্রতুলতা নিরসনে ওয়াসাকে, ঘনঘন লোডশেডিং ও লো ভোল্টেজ বন্ধে পিডিবিকে এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও মাদক নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হবে।
তাছাড়া নতুন পদ্ধতিতে ভাড়ার ভিত্তিতে হোল্ডিং ট্যাক্সের পরিবর্তে আগের নিয়মে স্থাপনার আয়তন হিসেবে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ ও আদায়ের দাবিতে আন্দোলন করছেন করদাতা সুরক্ষা পরিষদ নেতারা।
বিডি প্রতিদিন/৩ অক্টোবর ২০১৭/হিমেল